অরিত্র চ্যাটার্জি


মনে কর একটা গান,

অথবা বিকেল জুড়ে একটা ফ্রেম

তার ভেতর কেবলই বৃষ্টি পড়ছে

খুব ধব্‌ধবে একটা টেবিল পাতা

অবিন্যস্ত কয়েকটি চেয়ার, 

ওরা উঠে গেছে একটু আগেই 

ফেলে রাখা গোলাপগুলো 

ঈষৎ কেঁপে উঠছে, বৃষ্টির তোড়ে   

ভেজা সামিয়ানা, শহরতলি পেরিয়ে  

মনে কর ওরা চলে যাচ্ছে, 

মনে কর, এমন একটা গান

যার শেষটা তোমার আজ 

আর মনে পড়ছে না কিছুতেই… 


এমনি দিনলিপি


ওই জ্যোতির্ময়,

সে এখন চলেছে, যতদূর দেখা যায়

হোস্টেলের জানলা, গাছ, ইলেকট্রিকের তার

এসবের ওপারে, সে এখন দ্রুত হাঁটে  

তার নব্য প্রেমিকাটির সাথে, খুব সন্তর্পণে 

কাঁধে রাখে হাত, হয়ত প্রথমবার এই,

আয়নার সামনে গতরাতে, অবশ্য অনেকক্ষণ 

সে করেছে প্র্যাকটিস, সঠিক মুহূর্তের অপেক্ষায়

তারা হয়তো যাবে বিকেলের নন্দন, প্রেক্ষাগৃহের

অন্ধকারটুকু ভাগ করে নেয়া নিজেদের মতন

তারপর ফিরতিপথ, বাসস্টপে খানিক দাঁড়ায়

এমনিতে সিগারেট ব্যাপারে সে ঈষৎ বুর্জোয়া

তবুও কাউন্টার দেয়, বন্ধুদের সাথে খুব হাসে

তাদের আঁশটে মন্তব্যগুলো ইতিউতি হাওয়ায়

ব্যালকনিময় সিগারেটের ছাইয়ের মতন ওড়ে,  

বাড়ি থেকে ফোন হয়তো আসে ও বেজে যায়,

এমনিই সিঁড়ি বেয়ে তারা বারবার ওঠে আর নামে

এসব অকারণ ব্যাস্ততার মধ্যে মাঝেমাঝেই মনখারাপ

হয়, কার্নিশের বেড়ালকে সে তার গল্পটুকু বলে…



পাঠকের মতামতঃ